পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা। বিভিন্ন সেক্টরে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখছেন তারা। আসুন আজকে জানবো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রথম নারী যারা , তাদের সম্পর্কে…
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী : বেগম খালেদা জিয়া।
বিরোধী দলীয় নেত্রী : শেখ হাসিনা।
স্পিকার : ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদ উপনেতা : সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী : ডা. দিপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী : ডা. দিপু মনি।
মন্ত্রীসভার প্রথম সদস্য : নুরজাহান মুরশিদ।
হুইপ : খালেদা খানম।
সংসদ সদস্য (এমপি) : আবেদা চৌধুরী।
রাষ্ট্রদূত : মাহমুদা হক চৌধূরী।
কূটনীতিবিদ : তাহমিনা হক ডলি।
সচিব : জাকিয়া আকতার চৌধুরী।
অর্থসচিব: ফাতিমা ইয়াসমিন।
বিচারক : বেগম নাজমুন আরা সুলতানা। তিনি দেশের প্রথম নারী জেলা জজ, হাইকোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি ও আপিল বিভাগেরও প্রথম নারী বিচারপতি।
আইনজীবী ও ব্যারিস্টার : ড. রাবেয়া ভূঁইয়া। আপিল বিভাগেরও প্রথম নারী আইনজীবী তিনি।
এমিরেটাস ফেলো ও প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক : বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী এমিরেটাস ফেলো হলেন অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য : ড. ফারজানা ইসলাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ২০১৪ সালের ২ মার্চ তিনি নিয়োগ পেয়েছেন।
উচ্চ শিক্ষাপ্রাপ্ত নারী : প্রথম উচ্চ শিক্ষাপ্রাপ্ত মুসলিম মহিলা ফজিলাতুন্নেসা। তিনি উপমহাদেশের প্রথম মহিলা হিসেবে ইংল্যান্ডে শিক্ষার জন্য যান।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদ্যেপান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপ-উপাচার্য : ড. জিন্নাতুন্নেছা তাহমিদা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী শিক্ষিকা : করুণাকণা গুপ্তা।
ঢাবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের প্রথম নারী ভিপি : মাহফুজা খানম।
ঢাবির প্রথম ছাত্রী : লীলা নাগ। ১৯২১-২৩ সেশনে ভর্তি হয়ে তিনি সহশিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করেন। ১৯২৩ সালে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ পাস করেন।
বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি)-এর প্রথম নারী চেয়ারম্যান : জিন্নাতুন্নেসা তাহমিদা বেগম।
বাংলা একাডেমির প্রথম নারী মহাপরিচালক : ড. নীলিমা ইব্রাহীম।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম নারী উপদেষ্টা : ড. নাজমা চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশনার: কবিতা খানম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক : নাজনীন সুলতানা।
জাতিসংঘে বাংলাদেশি প্রথম নারী স্থায়ী প্রতিনিধি : ইসমাত জাহান।
মুসলিম নারী চিকিৎসক : উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী চিকিৎসক জোহরা বেগম কাজী।
নভোবিজ্ঞানী : ড. সুলতানা নাহার কেয়া।
নোটারী পাবলিক : কামরুন নাহার লাইলী
জেলা প্রশাসক : রাজিয়া বেগম।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) : ফাতেমা বেগম।
পুলিশ সুপার (এসপি) : রওশন আরা।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) : হোসনে আরা বেগম।
প্যারেড কমান্ডার : এলিজা শারমিন।
সেনাবাহিনীতে নারী: নারীরা স্বাধীনতার পর থেকেই সেনা চিকিৎসা শাখায় চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিতে পারেন। ২০০১ সালে সর্বপ্রথম সেনা ক্যাডেট হিসেবে নারীরা যোগদান করেন। প্রথমবারের মত নারী সৈনিক নেওয়া হয় ২০১৩ সালে।
সেনাবাহিনীর প্রথম নারী মেজর জেনারেল: সুসানে গীতি (২০১৮)।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল : সুরাইয়া রহমান।
কর্নেল : রোকেয়া আনিস
পারাট্রুপার (ছত্রীসেনা) : ক্যাপ্টেন জান্নাতুল ফেরদৌস।
আরও জানুন : খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সকল তথ্য
প্রথম নারী বীরপ্রতীক : ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম। তিনি সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম নারী শহীদ : মেহেরুন্নেসা।
সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র নারী সদস্য : বেগম রাজিয়া বানু।
ক্রিড়াবিদ : রাবেয়া খাতুন।
দাবায় আন্তর্জাতিক গ্রান্ড মাস্টার : রানী হামিদ।
চলচ্চিত্র পরিচালক : বেগম রেবেকা।
অভিনেত্রী : পূর্ণিমা সেনগুপ্তা।
মুসলিম অভিনেত্রী : বনানী চৌধুরী।
বিটিভির প্রথম নারী মহাপরিচালক : ফেরদৌস আরা বেগম। বাংলাদেশের প্রথম নারী কর কমিশনারও তিনি।
টেলিভিশনে প্রথম নারীর অংশগ্রহণ : ফেরদৌসী রহমান টেলিভিশনের প্রথম নারী শিল্পী।
রেডিওতে নারীর অংশগ্রহণ : বেতারের প্রথম মহিলা শিল্পী লায়লা আরজুমান্দ বানু।
⇒ সর্বশেষ চাকরির খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
এভারেস্ট জয়ী প্রথম নারী : নিশাত মজুমদার।
বৈমানিক (পাইলট) : কানিজ ফাতেমা। ১৯৮৩ সালের ৫ আগস্ট কর্তব্যরত অবস্থায় বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
পুলিশের প্রথম নারী বৈমানিক (পাইলট) : ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
ট্রেন চালক : সালমা খান।
প্রথম নারী সম্পাদিকা : প্রথম মহিলা সম্পাদিকা বেগম সুফিয়া কামাল। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাষায় সচিত্র সাপ্তাহিক পত্রিকা
‘বেগম’-এর সম্পাদিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ফটোগ্রাফার : প্রথম মহিলা ফটোগ্রাফার সাইদা খানম।
মহিলা বন্দীদের লাইব্রেরি : ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মহিলা বন্দীদের জন্য লাইব্রেরি চালু করা হয়।
⇒ চাকরির প্রস্তুতির জন্য এ জাতীয় সকল তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন