সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

চাকরির ইন্টারভিউতে যা করা যাবে / যাবে না

ক্যারিয়ার ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৮৩ পঠিত
চাকরির ইন্টারভিউতে যা করা যাবে / যাবে না

কথায় আছে, প্রথমে দর্শনদারী, পরে গুনবিচারী। আর তাই চাকরির ইন্টারভিউতে নিজেকে ভালোভাবে প্রদর্শন করা জরুরি। ইন্টারভিউতে নিজের দক্ষতা প্রমাণে একটি ভালো কথোপকথন ও ব্যবহার চাকরি পেতে সহায়ক। আবার ইন্টারভিউতে করা কিছু ভুল খারাপ প্রভাব নিয়ে আসতে পারে। আর তাই ইন্টারভিউতে যেসব কাজ ভুলেও করা যাবে না।

প্রথমত কিছুতেই ইন্টারভিউতে দেরিতে উপস্থিত হওয়া যাবে না। ইন্টারভিউ বোর্ডে যথাযথ সময়ে উপস্থিত হওয়া খুবই জরুরি। এটি সময়নিষ্ঠতার পরিচয় বহন করে।

ইন্টারভিউতে দেরিতে উপস্থিত হলে ইন্টারভিউ গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রার্থীর প্রতি নেতিবাচক ধারণার জন্ম হতে পারে। তাই একটু আগেভাগে বের হবার চেষ্টা করতে হবে, যাতে নির্ধারিত সময়ের আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে পৌঁছানো যায়।

যথাযথ পোশাক পড়াটা খুবই জরুরি ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে। মানানসই পোশাক না পরলে ইন্টারভিউ গ্রহণকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এতে করে প্রার্থীর আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়।

মার্জিত, ভদ্র ও নম্রতা বজায় রাখা ইন্টারভিউর একটি গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারভিউ চলাকালীন অঙ্গভঙ্গি ও কথাবার্তা সাবলীল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হওয়াটা খুব জরুরি। এছাড়া ইন্টারভিউ বোর্ডে কোনোভাবেই দৃষ্টিকটু লাগে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না। সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলেও আমতা আমতা করা যাবে না। সরাসরি দু:খিত বা আই এম সরি বলতে হবে।

দৃঢ়তার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। স্পষ্ট, সাবলীল ও যুক্তিসঙ্গত ভাষায় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া জরুরী। ইন্টারভিউ বোর্ডে কোনোভাবে প্রশ্নকর্তার জানতে চাওয়া প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। সব প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করতে হবে। সাবলীল ও স্পষ্টভাবে গুছিয়ে উত্তর দিতে হবে।

চাকরির ইন্টারভিউতে যা করা যাবে না

ইন্টারভিউর সময় বর্তমান কিংবা পূর্বের কোনো চাকরি বা চাকরিদাতার নামে নিন্দা করা যাবে না। আগের চাকরি ছাড়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ উল্লেখ করে তা উপস্থাপন করতে হবে।

একজন প্রার্থী হিসেবে ইন্টারভিউ বোর্ডে অবশ্যই প্রার্থীকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। নিজের কথায় দৃঢ়তার প্রকাশ থাকতে হবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করা শোভনীয় হবে না। এতে করে প্রশ্নকর্তার মধ্যে প্রার্থী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মিথ্যাচার করা যাবে না। কোনো মিথ্যা বা ভুল তথ্য পরবর্তীতে প্রার্থীর ভাবমূর্তিতে আঘাত করবে। ইন্টারভিউ বোর্ডে কথায় কথায় দুঃখিত বা সরি বলা বা কাচুমাচু করা ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয় হবে। এটি চাকরিক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

প্রশ্নকর্তার কথায় মনোযোগ না দিয়ে তার কথা বলার মাঝে তাকে থামিয়ে দিয়ে নিজের কথা বলে যাওয়া সমীচীন নয়। এতে করে প্রশ্নকর্তা বিরক্ত হতে পারেন।

যেটা চাকরিপ্রার্থীর জন্য ভালো ফল বয়ে আনবেনা একজন প্রার্থী প্রশ্নকর্তার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, এরপর যুক্তিসঙ্গত উপায়ে উত্তর দেবেন। এটাই একজন চাকরি প্রার্থীর ভদ্রতার পরিচায়ক।

 আরও ক্যারিয়ার টিপস পেতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই ধরনের আরও সংবাদ
© Current Memory 2022 - 2023
Designed by BLACK iz Limited